আজানের জবাব দেওয়া,মানে মুয়াজ্জিন যখন আজান দেয়, তখন তার সাথে সাথে ওই বাক্য গুলি বলা। এখন সমাজে দেখা যায়, মুয়াজ্জিন যখন আজান দেয়, তখন আমরা যেকোনো কাজে যুক্ত থাকি, মুয়াজ্জিন আজান দেয়, এটা বুঝতে পারি, কিন্তু তার জবাব আমরা বেশিরভাগ মানুষই দেই না।
চলুন জেনে নেই, এই আজানের জবাব দেওয়ার সওয়াব কি? সুবহান আল্লাহ!
প্রথমে জানতে হবে, মুয়াজ্জিন যে আজান দেয়, তার সওয়াব কি? তার সওয়াব তো অনেক ভাই, কিয়ামতের দিন তার গর্দান থাকবে সবথেকে উঁচুতে, সবথেকে লম্বা গর্দান থাকবে, মর্যাদার কারণে এটা হবে।
হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ(স:) বলেছেন,মানুষ যদি আজানের সওয়াব দেওয়ার ব্যাপারে জানতো তাহলে তারা লটারি করতো আজান দেওয়ার জন্য।। …( সহীহ বুখারী)
মুয়াজ্জিনের সওয়াব হলো, তার আজান শুনে যত লোক নামাজ পড়তে আসবে, তাদের সমপরিমাণ সওয়াব বোনাস হিসেবে মুয়াজ্জিন কে দেওয়া। (সুবহান আল্লাহ)! এক অমূল্য সওয়াব।
হাদিসে এসেছে, সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ(স:) কে বলতেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ(স:) সমস্ত সওয়াব তো মুয়াজ্জিন ই নিয়ে নিল, আমরা তো এই বিরাট সওয়াব থেকে দুরে রয়ে গেলাম, আমরা কি করবো?
তখন রাসূলুল্লাহ(স:) বললেন, তোমরা তার মতো সওয়াব পেতে চাও? খুব সহজ পদ্ধতি, মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তাই বলো। মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে তোমরাও একই কথা বলতে থাকো। তাহলে কি হবে , মুয়াজ্জিনের সমপরিমাণ সওয়াব তোমরাও পেয়ে যাবে।(সুবহান আল্লাহ) ।।।(সহীহ মুসলিম)
অর্থাৎ - মুয়াজ্জিনের আজান শুনে যদি ১০০ জন মানুষ নামাজ পড়তে আসে, তাহলে তাদের সমপরিমাণ সওয়াব মুয়াজ্জিন পাবে, আপনি যদি মুয়াজ্জিনের আজানের উত্তর দেন, তাহলে আপনিও এই সওয়াব পাবেন। কত বড় আমল । (সুবহান আল্লাহ)